ফেনীতে বন্যা: পানি কমলেও দুর্ভোগে দেড় লক্ষাধিক মানুষ

আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৩:৪২:০৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৩:৪২:০৫ অপরাহ্ন
ভারত থেকে নেমে আসা বাঁধভাঙা পানিতে পরশুরাম ও ফুলগাজী হয়ে ছড়িয়ে পড়া জলাবদ্ধতা এখন ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদরের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ২৩টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে, এতে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
 
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কমে যাওয়ায় নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরশুরামে পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হলেও ফুলগাজী ও আশপাশের নিম্নাঞ্চলে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদরে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। ফেনী-ফুলগাজী ও ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের কিছু অংশে এখনো ১ থেকে ২ ফুট পানি রয়েছে।
 
জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দুর্গতদের সহযোগিতায় কাজ করছে। ৪ উপজেলায় ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
 
ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর, রাধানগর ও পৌরসভার অন্তত ১০টি গ্রাম এবং ফেনী সদরের কাজীরবাগ, মোটবী, ছনুয়া ও ফাজিলপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মাছের পুকুর ভেসে গেছে, ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি ডুবে গেছে।
 
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিবছর একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। কেউ কেউ বলেন, মনে হচ্ছে এই জায়গায় জন্ম নিয়ে তারা ভুল করেছেন।
 
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মুহুরী নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১.৯৩ মিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমে যাওয়ায় নতুন করে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই। পানি নেমে গেলে মেরামত শুরু হবে।
 
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পরশুরামে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, ফুলগাজীতেও কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছাগলনাইয়ায় নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও শুক্রবারের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির আশা করা হচ্ছে।
 
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]