
ফেনীর মুহুরী নদীর পানি ৭৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে ও আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙন কবলিত এলাকা দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, আজ মুহুরী নদীর পানি ৭৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গতকালের তুলনায় আজকে পানির চাপ কিছুটা কম।
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার একাংশে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছেন। তাদের মধ্যে ১১৫টি পরিবারের ৩৪৭ জন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। গত রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। পরশুরাম উপজেলায় ৯৯, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২ এবং ফেনী সদর উপজেলায় ২২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ২ হাজার ৫৩৭ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলায় ইতোমধ্যে ত্রাণ কাজের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলায় ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাহিরে ফুলগাজী ও পরশুরামে ইতোমধ্যে ৪০০ শুকনা খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে।