
শ্রমিকদের অবৈধভাবে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদানের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় শ্রমিক পদের চারজনকে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়নের সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার নগরীর টাইগারসপাসে অবস্থিত চসিক কার্যালয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি জানান, অভিযানের সময় কর্পোরেশনের শ্রমিকদের অবৈধভাবে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে শ্রমিক পদের চারজন মো. রোকনুজ্জামান, রশিদ আহমদ, জাহেদুল আহসান ও এস এম রাফিউল হক মনিরীকে অভিযোগে উল্লিখিত শ্রমিক পদ থেকে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়নের সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদক জানায়, মো. রোকনুজ্জামান ২০২৩ সালের ১৩ জুন শ্রমিক পদে নিয়োগের অফিস আদেশ পাওয়ার কয়েকদিন পর অর্থাৎ ১৮ জুন সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক পদে যোগদান করেন। একই তারিখের অফিস আদেশে তাকে উপসহকারী প্রকৌশলী (অস্থায়ী) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক পদে নিয়োগের অফিস আদেশ প্রাপ্ত হয়ে একই দিনে উক্ত পদে যোগদান করেন রশিদ আহমদ। কয়েকদিন পর অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর অফিস আদেশে তাকে উপসহকারী প্রকৌশলী (অস্থায়ী) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এছাড়া জাহিদুল আহসান ও এস এম রাফিউল হক মনিরীকে একইভাবে শ্রমিক পদ থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা হয়। আইন ও বিধির যথাযথ অনুসরণ ব্যতিরেকে স্বেচ্ছাচারিতা ও মারাত্মক অনিয়মের আশ্রয়ে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শ্রমিকদেরকে পরবর্তীতে উপসহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে পদায়ন করা হচ্ছে বলে জানায় দুদক।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ও শ্রমিক পদ থেকে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের তালিকাসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিষয়ে আরো রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম দ্রুত কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।