গণঅভ্যুত্থানের পর ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পঞ্চগড়ে পদযাত্রা করেছে। তৃতীয় দিনের এ কর্মসূচির শেষে এক সভায় দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ৫০ বছরে কোনো সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। এখন মানুষকে গুলি করে হত্যা না করে পুশ ইন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, ছাত্র জনতার বাংলাদেশ। আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”
সভায় তিনি বলেন, এনসিপি পঞ্চগড়ের স্থানীয় সমস্যা ও দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার করছে।
নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, পঞ্চগড়বাসীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও দুর্নীতি রোধে পদক্ষেপ নেবে এনসিপি। আগামী ৩ আগস্ট ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার কথা জানান তিনি।
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্যসেবা, অবৈধ পাথর উত্তোলন ও চিনিকল বন্ধ থাকা নিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে। এসব অনিয়ম রোধে দৃঢ় অবস্থান নেবে এনসিপি।
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, পঞ্চগড়ের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। যারা এসব করছে, পালানোর পথও পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ডা. তাসনিম জারা বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে নিরপেক্ষ করতে হবে এবং গুম-খুনের সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। হান্নান মাসউদ জানান, এনসিপি সরকার গঠন করলে দেশের দক্ষিণ ও উত্তরের বৈষম্য দূর করবে।