
ইরাকি তেলের আড়ালে ইরানি তেল পাচারের অভিযোগে একটি নেটওয়ার্ক এবং হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরাকি-ব্রিটিশ নাগরিক সেলিম আহমেদ সাইদ পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক ২০২০ সাল থেকে ইরাকি তেলের সঙ্গে ইরানি তেল মিশিয়ে পশ্চিমা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এতে কোটি কোটি ডলারের ইরানি তেল নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বিশ্ববাজারে বিক্রি হয়েছে।
কীভাবে কাজ করত চক্রটি:
-
ইরানি তেলের সঙ্গে মিশ্রিত করা হতো ইরাকি তেল
-
পরে জাল নথির মাধ্যমে এসব তেলকে ‘সম্পূর্ণ ইরাকি তেল’ হিসেবে দেখানো হতো
-
বিক্রির জন্য ব্যবহার করা হতো ইরাক বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) বিভিন্ন চ্যানেল
এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি জাহাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখযোগ্যভাবে, সাইদের নিয়ন্ত্রিত UAE-ভিত্তিক কোম্পানি VS Tankers-এর নামও এসেছে, যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্ক এড়িয়ে চলেন।
এছাড়া লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত আল-কারদ আল-হাসান নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায়:
-
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব সম্পদ জব্দ করা হবে
-
মার্কিন নাগরিক বা কোম্পানি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবে না
ট্রেজারি বিভাগ বলছে, “এই ধরনের বেআইনি আর্থিক কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতাকে উসকে দিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”