রাজশাহীতে বিচারকের বাসায় ঢুকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওফিক রহমান সুমন (১৫) হত্যার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রাজপাড়া থানায় নিহতের বাবা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন, যেখানে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই লিমনকে আটক করে পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও কমিশনার গাজীউর রহমান জানান, লিমনকে আদালতে হাজির করা হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
এদিকে তাওফিকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীরের তিনটি স্থানে গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালি ছিঁড়ে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অভ্যন্তরীণ ক্ষতির ফলে তার মৃত্যু হয়। ডান ঊরু, ডান পা ও বাম বাহুতে এসব আঘাত পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের গলায় দাগ থাকলেও তা নরম কিছু দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টায় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধের চেষ্টা প্রায় একই সময়ে ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর ডাবতলা এলাকায় বিচারকের ভাড়া বাসায় হামলার এই ঘটনা ঘটে। এতে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসী গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার সময় ধস্তাধস্তিতে লিমনও আহত হন এবং তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদোনেরপাড়া গ্রামে।