জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শিশির মনিরের মতে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগ, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন এবং উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে দেশে গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত পরিবর্তনের পথ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন দেয়। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আদেশের মূল বিষয়বস্তু ও বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। চারটি বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটাররা একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে মতামত জানাবেন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কার কার্যক্রমে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে না। গণভোটের প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামোও যথাসময়ে প্রণয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
এসব সিদ্ধান্তকে সংবিধান সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে মূল্যায়ন করেন আইনজীবী শিশির মনির।