চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে—প্রতিবাদ কর্মসূচির মূল দাবি ছিল নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার জোট নেতাদের জড়িত জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুত ও আইনি প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত করা এবং করোনা-পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘খুনি হাসিনা’ নামে পরিচিত একজনের রায়ের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও নৈতিক প্রতিবাদ। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন থেকে শুরু করে শহীদ মিনার ও গোলচত্বর পর্যন্ত চলে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিরোধী স্লোগান দেয় ও শহীদদের ন্যায়ের দাবি তোলার কথা বলে; তারা বলছে, গত জুলাই আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং সরকারের আনুগত্যপূর্ণ কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন। চাকসুর নেতারা সংবাদিকদের জানায় যে, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা এখনো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজে দেখা যাচ্ছে এবং সেটি শিক্ষানবিশ গণতন্ত্র ও শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে অপমর্যাদা সৃষ্টি করছে।
কর্মসূচিতে বক্তব্যে চাকসুর স্থানীয় নেতারা বলেন—বিধি-বিধানের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনি বিচারের দাবি করা হচ্ছে এবং কোনভাবেই উচ্চপদস্থ বা রাজনৈতিক পরিচয় বিচারের বাইরে থাকা উচিত নয়। তারা আরও দাবি করেন, যাদের বিরুদ্ধে সংগত অভিযোগ রয়েছে তাদের দায়েরকৃত অভিযোগগুলো দ্রুত তদন্তে নিয়ে আসা এবং সুষ্ঠু আদালত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আর কোনোভাবে সহিংসতার রাজনীতির জন্য ভোগ্য করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মিছিলে চাকসুর ভিপি, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদকসহ বিভিন্ন কার্যনির্বাহী সদস্য এবং হলভিত্তিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং জনসম্মুখে আত্মপ্রকাশ করে আগামীতে আইনি পথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রস্তুতি জানায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী প্রতিবাদ চলাকালে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি; তবে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভবিষ্যতে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ওপর চাপ বা বাধা দিলে তৎপরতার র populares রাখবেন তারা।
সংক্ষিপ্ত প্রাসঙ্গিক ব্যাকগ্রাউন্ড: বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উত্তেজনা এবং নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রসংগঠন, সরকারি নীতিসহ নানা বিষয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংগঠিত প্রতিবাদ সাধারণত শিক্ষার্থীদের অধিকার, ন্যায়প্রার্থীতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের অনুরোধ হিসেবে গড়ে ওঠে; তবে ক্ষমতাসীন-বিরোধী প্রসঙ্গগুলো জোরালো হলে তা কখনও-কখনও ক্যাম্পাসের শান্তিবচনকে প্রভাবিত করে। আইনি তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত করার আহ্বান রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন কল্যাণকামী সংগঠনও করেন।