সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনই চারটি প্রশ্নের ওপর গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি পূরণের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সাধারণত গণভোটে একটি প্রশ্ন থাকে, তবে এবার চারটি প্রশ্নে হ্যাঁ বা না ভোটের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রথম প্রশ্নে থাকবে—যেসব বিষয়ে সবদল একমত হয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে কি হবে না। দ্বিতীয় প্রশ্ন পিআর (প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি নিয়ে, তৃতীয় প্রশ্নে নোট অব ডিসেন্টসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং চতুর্থ প্রশ্নে নোট অব ডিসেন্ট ছাড়া সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট হবে।
বিএনপি গণভোট আগে করার প্রয়োজন দেখছে না এবং সময়ও নেই বলে জানিয়েছে। বিপরীতে জামায়াতে ইসলাম আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্যান্য ছোট দলগুলো নির্দিষ্ট দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত এমনভাবে নেওয়া হবে যাতে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ না আসে। ইতিমধ্যেই জুলাই জাতীয় সনদের আদেশ চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর করতে পারেন।
জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করা হয়েছিল সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমনের ব্যবস্থায় সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য। ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে ২৬টি দল ও জোট ইতিমধ্যেই সই করেছে এবং সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।