
ভুয়া কাগজপত্র তৈরি ও নারীদের বিদেশে পাচারের অভিযোগে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) চারজন কর্মকর্তা এবং পাঁচটি জনশক্তি রফতানিকারক এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি ও নারীদের বিদেশে পাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জনশক্তি রফতানিকারক এজেন্সি নিজেদের স্বার্থে বিএমইটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকৃত আবেদনকারীর পরিবর্তে অন্য নারীর পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে আবেদন দাখিল করে। এসব জাল পাসপোর্ট যাচাই না করেই বিএমইটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ৯ জন নারীকে ছাড়পত্র প্রদানে অনুমোদনের জন্য নোট উপস্থাপন করেন। এছাড়া প্রযোজ্য সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ২৫ বছরের কম বয়সি চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীকে মধ্যপ্রাচ্যে প্রেরণের ছাড়পত্র প্রদানের জন্যও নোট উপস্থাপন করা হয়।
অভিযান চলাকালে সংগৃহীত কাগজপত্র যাচাই করে শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএমইটির উপ-পরিচালক (বহির্গমন) মো. সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক (বহির্গমন) মোহাম্মদ হোসেন উল্লাহ আকন্দ, জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন পাটোয়ারি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আজাদ হোসেন, এইচ. এ. ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার মো. আনোয়ার হোসেন, কে. এইচ. ওভারসিজের ম্যানেজিং পার্টনার মো. সালাউদ্দিন, মক্কা ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী মো. জামাল হোসেন, তাসনিম ওভারসিজের ম্যানেজিং পার্টনার মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, এস. এম. ম্যানপাওয়ারের পার্টনার একরামুল হক।