ভেনেজুয়েলার সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো সামরিক হুমকি এলে তা প্রতিহত করার জন্য তাদের সশস্ত্র বাহিনী পূর্ণমাত্রায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে—স্থল, আকাশ, নৌ, নদী ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসহ পুলিশ, মিলিশিয়া ও নাগরিক ইউনিটও তৎপর থাকবে, বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো। ঘোষণাটি এসেছে জেরাল্ড আর ফোর্ড নামের মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর ওই অঞ্চলে আগমন ও দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।
বিবৃতিতে মাদুরো সরকার বলেছে, তারা সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসণ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে—অভিধানিকভাবে মূল লক্ষ্য হলো সার্বভৌমত্ব রক্ষা। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৃহৎ বিমানবাহী রণতরী জেরাল্ড আর ফোর্ডকে ক্যারিবিয়ান সাগরে পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছে; পেন্টাগন জানিয়েছে, ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপে হাজারাধিক নাবিক ও কৌশলগত বিমান রয়েছে। মার্কিন পক্ষ বলছে, এই মোতায়েন অবৈধ মাদকচোরাচালানি প্রতিহত ও অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদারকরণে প্রয়োজনীয়।
উত্তেজনা ঘনীভূত হওয়ায় দুইপক্ষের বক্তব্যে তীব্রতা দেখা যায়—ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোকে মাদকচক্র ও অপরাধ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ আনে, আর মাদুরো ও তার মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্য’ে অভিযুক্ত করছেন। কড়া ব্যবস্থার প্রস্তাব এবং মিলিশিয়া ব্যবহারের ঘোষণা বিশ্লেষকরা দেখছেন—এটি সরকারী সামরিক সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা কিছুটা পূরণ করার কৌশল। রয়টার্সের বরাতে জানানো হয়েছে, অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনাতে কয়েকশ ছোট ইউনিট গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা সম্ভাব্য নাশকতা ও গেরিলা রুখতে কাজে লাগতে পারে।
অন্যদিকে, গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে পুয়ের্তো রিকো, এল সালভাদর, পানামা ও ত্রিনিডাদ ও টোবাগোতে সৈনিক মোতায়েন ও প্রশিক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। প্রশান্ত ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে পরিচালিত একাধিক অভিযানের কথা মার্কিন কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে; স্থানীয়ভাবে এসব কার্যক্রমকে কিছু পর্যবেক্ষক নিরাপত্তা জোরদারকরণ ও মাদকবিপ্লব হিসেবে দেখলেও কিছু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বলছেন, অতিরিক্ত সামরিক ব্যয় ও মোতায়েন কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।