কাতারের সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ‘কাতারা’ জানিয়েছে, নবম কাতারা আন্তর্জাতিক কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় ৬৩ দেশের মোট ১,২৬৬ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। “নিজের কণ্ঠে কুরআনকে অলংকৃত করো” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এবারের প্রতিযোগিতা আগামী রমজানে দোহায় অনুষ্ঠিত হবে।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৫৫ জন প্রতিযোগী ১৭টি আরব দেশ থেকে এবং ৬১১ জন ৪৬টি অ-আরব দেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন। আরব দেশগুলোর মধ্যে মিশর, সুদান ও সোমালিয়া সর্বাধিক ৩১৬ জন প্রতিযোগী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে মাগরেব অঞ্চল—মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া প্রভৃতি দেশ—যেখানে অংশ নিচ্ছে ২১০ জন প্রতিযোগী। লেভান্ট অঞ্চল ও ইরাক থেকে অংশ নিচ্ছেন ৯২ জন, আর উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন ৩৭ জন ক্বারি।
প্রাথমিকভাবে বাছাই কমিটি সব আবেদনকারীর তেলাওয়াত শুনে ১০০ জন প্রতিযোগী নির্বাচন করবে। এই নির্বাচিত প্রতিযোগীরা ২০ পর্বের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, প্রতিটি পর্বে ৫ জন প্রতিযোগী থাকবেন। প্রতিটি পর্ব থেকে একজন সেমিফাইনালে উন্নীত হবেন, এবং শেষে শীর্ষ পাঁচজন বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
প্রতিযোগিতার মোট পুরস্কারের পরিমাণ ১৫ লাখ কাতারি রিয়াল। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ৫ লাখ, দ্বিতীয় ৪ লাখ, তৃতীয় ৩ লাখ, চতুর্থ ২ লাখ ও পঞ্চম ১ লাখ রিয়াল। এছাড়া প্রথম স্থান অর্জনকারীর সম্পূর্ণ কুরআন তেলাওয়াত স্টুডিওতে রেকর্ড করে সিডি আকারে প্রকাশ করা হবে।
ছয় সদস্যের বিচারকমণ্ডলীতে থাকবেন তিনজন স্বীকৃত ক্বারি ও তাজবিদ-বিশেষজ্ঞ, এবং তিনজন স্বরলিপি ও মাকাম-বিশেষজ্ঞ। কাতারা ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কুরআনের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করা এবং সুন্দর কণ্ঠে তেলাওয়াতের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি কাতারের ধর্ম ও ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়াকফ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।