নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে ৮টার দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সেই আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে না। ভারত পালিয়ে থেকে কথিত কর্মসূচি দিয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগ বাস্তবে নয় ফেসবুকে লকডাউন পালন করতে পারে। বাস্তবে এই কর্মসূচি পালন করতে গেলে জনগণ তাদের গণপিটুনি দিবে। পলাতক খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর সময় তার কর্মীদের কথা চিন্তা করে নাই এমনকি কর্মীদেরকে জানাইও নাই তারা যেন নিরাপদে পালায়। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা নিরাপদে ৫ আগস্টের আগে পালিয়ে যায় আবার অনেকে ৫ আগস্টের দিন বা পরে নিরাপদে পালিয়ে যায়। তারা কর্মীদের কথা একবারও চিন্তা করে নাই।
তিনি আরও বলেন, পলাতক নেতারা পাচার করা টাকায় বিদেশে রাজকীয় জীবনযাপন করছে পরিবার নিয়ে। আর বিপদে আছে দেশে থাকা নিরীহ কর্মীরা। দেশে থাকা নিরীহ কর্মীদের বলবো বিদেশে নিরাপদে আরাম আয়েশে থাকা নেতাদের উসকানি তে রাস্তায় নেমে নিজে বিপদে পড়বেন না,মনে রাখবেন যারা ফেসবুক কর্মসূচি দিয়ে উসকানি দিচ্ছে তারা কিন্তু বিপদে পড়বে না।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছে, তারা আর বাংলাদেশে আসতে পারবে না৷ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুধু রায় ঘোষণা করলেই হবে না তার ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিলো, এতে হাসিনার কয়েকবার ফরাসি হওয়া উচিত।’
বিক্ষোভ মিছিল আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য রবিউল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ত্বোহা, ছাত্র নেতা বাবু খান প্রমূখ।