ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে আপাতত কোনো সরাসরি আলোচনা শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। সোমবার (১০ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আল-শারা বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনীয় নয়। কারণ, “সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্ত রয়েছে এবং ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করে রেখেছে। এই বাস্তবতায় আমরা এখনই সরাসরি আলোচনায় যেতে পারছি না।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন হয়তো ভবিষ্যতে এই ধরনের আলোচনায় আমাদের সহায়তা করতে পারে।”
ট্রাম্প প্রশাসন তার দ্বিতীয় মেয়াদে আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়াতে চায়। এর আগে ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি আশা প্রকাশ করেছেন যে, সিরিয়া ও সৌদি আরবও অদূর ভবিষ্যতে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিতে পারে। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারার বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, অন্তত নিকট ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। নতুন সরকারের নেতৃত্বে আসার পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে দামেস্ক। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রেসিডেন্ট আল-শারা এবং হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হয়।