রাতভর গোলাগুলির ঘটনা কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান ও মোছনী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। রোববার রাত ১০টা থেকে ভোর ১টা পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষে সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় হোস্ট কমিউনিটিতে ব্যাপক দুশ্চিন্তা বিরাজ করে। ঘটনাস্থলে ১৬ এপিবিএন পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টায় হঠাৎ করে শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬-এর আই ব্লক এবং মোছনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ও আই ব্লকে গোলাগুলি শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, দুই সশস্ত্র গ্রুপ—ছালেহ গ্রুপ ও নুর কামাল গ্রুপ—অপহরণ, মাদক চালান, মানবপাচার এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার করতে মুখোমুখি হয়। সংঘর্ষে শত শত রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়, যা থেকে বোঝা যায় উভয়পক্ষের কাছে ভারি অস্ত্র ছিল।
স্থানীয় মোছনী এলাকার হোছন জানান, রাতের এই গোলাগুলির আওয়াজে পুরো এলাকা যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হন। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রাতভর এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর তৎপরতা চোখে পড়েনি।
১৬ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক মো. কাউছার সিকদার বলেন, পাহাড়ে অবস্থানরত নুর কামাল ও ছালেহ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নয়াপাড়া ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পেছন দিক থেকে আক্রমণ চালাতে চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শটগান থেকে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। অবশেষে সন্ত্রাসীরা পেছনের পাহাড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে অভিযান চালানো জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত এবং এপিবিএন পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।