আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দুই দিনে মোট ২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে ১৫ জেলায় এবং রোববার আরও ১৪ জেলায় এই নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এসব বদলি ও নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই মাঠ প্রশাসনকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। কারণ জেলা প্রশাসকরাই জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত প্রশাসনিক তদারকির মূল দায়িত্ব থাকে তাদের হাতে।
ডিসিদের তত্ত্বাবধানে পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়, ফলে তারা সরাসরি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। একইভাবে জেলা পুলিশ সুপাররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন, যাদের নিয়েও শিগগিরই বদলি হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) যেসব ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, নড়াইল, জামালপুর, মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ ও চাঁদপুর।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিয়োগগুলো হলো—
নড়াইলের ডিসি শারমিন আক্তার জাহানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসউদকে ঝিনাইদহে, মেহেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ আবদুল ছালামকে নড়াইলে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহারকে মেহেরপুরে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক নাজমুল ইসলাম সরকারকে চাঁদপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগের দিন শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে নতুন ডিসি নিয়োগ পেয়েছে ১৫ জেলা—নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, গাইবান্ধা, বরগুনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া ও ভোলা।
একই সঙ্গে যেসব জেলার জেলা প্রশাসক পরিবর্তন হয়েছে, তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক এই পুনর্বিন্যাসকে নির্বাচনকালীন মাঠ প্রশাসনকে গতিশীল ও নিরপেক্ষ রাখার প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।