দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মের মাত্র তিন দিন পর এক নবজাতক কন্যাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রেখে পালিয়ে গেছেন তার মা। শিশুটির পাশে একটি চিঠি পাওয়া গেছে, যেখানে মা লিখেছেন, “আমি একজন হতভাগীনি মা। পরিস্থিতির শিকার। আমার বুকের ধনকে রেখে গেলাম, দয়া করে দেখবেন।” ঘটনায় শিশুটির সঙ্গে কিছু ওষুধও ছিল।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা নবজাতকটির সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন। শিশুটি সুস্থ এবং নিয়মিত খাবার ও যত্ন পাচ্ছে। একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে বুকের দুধের বিকল্প খাবার দেওয়া হচ্ছে যেন সে মায়ের অভাব টের না পায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিশুটির ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনা করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নবজাতক দেখতে ও দত্তক নেওয়ার আগ্রহে ভিড় করছেন অসংখ্য নারী ও পুরুষ।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. গোলাম আহাদ বলেন, “শিশুটির ভবিষ্যৎ বিবেচনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কার তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে রাখা যাবে।” হাসপাতাল পরিচালক ডা. ফজলুর রহমানও উল্লেখ করেন, “৩ দিনের ফুটফুটে কন্যাশিশুটিকে দত্তক নিতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে আইনি প্রক্রিয়া মেনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
শিশুটির পাশে পাওয়া চিঠি, তার ফুটফুটে মুখ এবং হতভাগীনি মায়ের হৃদয়স্পর্শী বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।