বেনাপোল বন্দরে বিপজ্জনক রাসায়নিকসহ জমে থাকা ১২ হাজার টন পণ্য, বাড়ছে অগ্নি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি

আপলোড সময় : ০৬-১১-২০২৫ ১১:১৩:০১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৬-১১-২০২৫ ১১:১৩:০১ পূর্বাহ্ন

বেনাপোল স্থলবন্দরে বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ পরিত্যক্ত পণ্য এখন নিরাপত্তা ও অগ্নি ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছে। বন্দরের বিভিন্ন শেডে মোট ১২ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন পণ্য পড়ে আছে, যার মধ্যে ৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন বিপজ্জনক ও মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্য। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় এসব পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চুরির ঘটনাও বাড়ছে।
 

বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না হওয়া পণ্য নিলামে তোলার কথা থাকলেও বছরের পর বছর তা করা হয়নি। ফলে বন্দর এলাকায় জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থগুলো বন্দর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। গত এক দশকে বেনাপোলে সাতটি অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকার ক্ষতি হলেও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
 

আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানিয়েছেন, বন্দর এলাকার বিভিন্ন গোডাউনে মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক পণ্য থাকার কারণে অন্যান্য মালামালও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এছাড়া স্থান সংকটে নতুন আমদানি পণ্য সংরক্ষণেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, “পরিত্যক্ত পণ্যগুলো দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।” একই সংগঠনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুলের মতে, “যদি দ্রুত নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে এবং বন্দরের জায়গা সংকটও কমবে।”
 

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শামিম হোসেন জানান, “অতিরিক্ত পণ্য বন্দরের ধারণক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে, এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।”
 

বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন হলেও সবসময় সেখানে পণ্য থাকে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য দ্রুত অপসারণ না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা দেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দরের কার্যক্রমকেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]