স্ট্রোক সাধারণত হঠাৎ ঘটে না— বরং তার আগেই শরীর নানা উপসর্গের মাধ্যমে সতর্ক করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব সংকেত যদি সময়মতো চিনে ফেলা যায়, তাহলে বড় ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
স্ট্রোকের এক মাস আগেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে, যেমন— হঠাৎ মাথা ঘোরা, হাঁটতে গিয়ে ভারসাম্য হারানো, চোখে ঝাপসা দেখা বা কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা, বারবার মাথা ব্যথা (বিশেষ করে এক পাশে) বা অস্বাভাবিক তীব্র মাথা ব্যথা যা আগে হয়নি। এ সময় মাথাব্যথার সঙ্গে বমি ভাব বা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকাও সাধারণ ঘটনা।
এছাড়া হাত বা পা অসাড় লাগা, দুর্বলতা বা শরীরের একপাশে অবশ হয়ে যাওয়া ইঙ্গিত দেয় মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হচ্ছে। এমন হঠাৎ অবস্থা কয়েক মিনিটের মধ্যে সেরে গেলে সেটিকে মিনি স্ট্রোক (Transient Ischemic Attack) বলা হয়— যা বড় স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে।
এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
প্রতিরোধে করণীয়:
-
রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা
-
ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল পরিহার করা
-
প্রতিদিন নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা
-
লবণ ও তৈলাক্ত খাবার কমানো
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
সচেতনতা ও সময়মতো পদক্ষেপই পারে প্রাণঘাতী স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে।