দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের সরকারি নিয়োগে প্রস্তাব ধর্ম উপদেষ্টার

আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৫ ১১:০৫:২৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৫ ১১:০৫:২৯ অপরাহ্ন
দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের জন্য সরকারি বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে পৃথক তিনটি আধা-সরকারি পত্রে (ডিও লেটার) এই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
 
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ধর্ম উপদেষ্টা এই তিনটি চিঠি প্রেরণ করেন।
 
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের কাছে পাঠানো চিঠিতে ড. খালিদ হোসেন উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আইন পাসের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) সনদকে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান করা হয়। একই দিনে এটি গেজেটে প্রকাশিত হয়।
 
তবে আইন কার্যকর হলেও কওমি শিক্ষার্থীরা এখনো এর সুফল পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। চিঠিতে বলা হয়, “আইনটি প্রণীত হওয়ার পরও কওমি শিক্ষার্থীরা যখন কোনো সরকারি চাকরিতে সুযোগ পাচ্ছেন না, তখন তা আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করে।”
 
ধর্ম উপদেষ্টা প্রস্তাব করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে তিনি আইন উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করেছেন, নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানে এই সনদধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।
 
এছাড়া প্রতিরক্ষা সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ধর্মীয় শিক্ষক পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেন তিনি।
 
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২০ হাজারেরও বেশি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতি বছর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) সনদ অর্জন করে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]