গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ত্রাণের বিলম্বে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা, পূর্ণ প্রবেশাধিকার চায় জাতিসংঘ

আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৫ ১০:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৫ ১০:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট কমেনি। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ইসরাইলি বিধিনিষেধের কারণে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। সংস্থার জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র আবির ইতিফা সতর্ক করেছেন, সীমিত ক্রসিংয়ের কারণে সাহায্য সরবরাহে দেরি হচ্ছে এবং গাজার মানুষ এখনও চরম ক্ষুধার মুখে রয়েছে।
 

ইতিফা বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সহায়তা কার্যক্রম কিছুটা বাড়লেও গাজায় মাত্র দুটি সীমান্ত ক্রসিং খোলা থাকায় তা প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, “আমরা সময়ের সাথে প্রতিযোগিতায় আছি। শীত আসছে, অথচ মানুষ এখনও ক্ষুধার্ত। আমাদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন—সব ক্রসিং খুলে দিতে হবে।”
 

ডব্লিউএফপি বর্তমানে গাজা জুড়ে ৪৪টি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির পর থেকে তারা দশ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তবে উত্তরের এলাকাগুলোতে পৌঁছানো এখনও কঠিন। উত্তর গাজায় প্রবেশ বন্ধ থাকায় ত্রাণ কনভয়গুলোকে দক্ষিণের দীর্ঘ ও জটিল পথ ধরে চলতে হয়, ফলে সহায়তা পৌঁছাতে সময় লেগে যাচ্ছে।
 

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ণ মাত্রায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে হলে উত্তরাঞ্চলীয় ক্রসিংগুলো খুলে দেওয়া জরুরি। এতে শুধু খাদ্য নয়, ওষুধ ও জরুরি সরঞ্জামও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
 

ইতিমধ্যে ইসরাইলি বাহিনী তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’ থেকে সরে যাওয়ার পর বহু ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের ভাঙাচোরা ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। তবে চলমান সংকটে তাদের বেঁচে থাকা এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]