
আশুরা, অর্থাৎ আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ, ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। হাদিসে এসেছে, এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, জান্নাত-জাহান্নামসহ সমস্ত সৃষ্টিজগতের সূচনা করেন।
আশুরা শব্দটি আরবি ‘আশারা’ (অর্থ: দশ) থেকে এসেছে। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের দশম দিনকে পবিত্র আশুরা বলা হয়। এ দিনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও সংঘটিত হয়েছে, যেমন—মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীদের ফেরাউন থেকে মুক্তি লাভ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর দেখতে পান, ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করছে। কারণ, এই দিনে মুসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে ফেরাউন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এ রোজা রাখাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) তখন বলেন, “মুসার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমরা তাদের চেয়ে বেশি হকদার।” এরপর তিনি নিজেও রোজা পালন করেন এবং সাহাবাদেরও তা করতে উৎসাহিত করেন।
তবে মুসলমানদের রোজা যেন ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হয়ে যায়, সে জন্য তিনি ১০ মহররমের সঙ্গে ৯ অথবা ১১ মহররম মিলিয়ে দুটি রোজা পালনের নির্দেশ দেন।
রোজা পালনের সঠিক নিয়ম হলো:
১. মহররমের ৯ ও ১০ তারিখ
অথবা
২. ১০ ও ১১ তারিখ
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, ১০ মহররম পড়েছে রোববার ৬ জুলাইয়ে। তাই রোজা পালনের সুন্নত হবে শনিবার (৫ জুলাই) ও রোববার (৬ জুলাই), অথবা রোববার ও সোমবার (৭ জুলাই)।
আশুরার রোজা পালনের মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি অতীত বছরের গুনাহ মাফের ফজিলত লাভ করতে পারেন।