যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে অনিয়ম হয়নি, দাম স্বচ্ছ ও বাজারসম্মত: খাদ্য মন্ত্রণালয়

আপলোড সময় : ২৮-১০-২০২৫ ১১:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৮-১০-২০২৫ ১১:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন
 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গম কেনায় বেশি দাম পরিশোধের অভিযোগ “ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর” তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
 

মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে আমদানির চুক্তি করা হয়।
 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা “ত্রুটিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর”। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা সাইলো পর্যন্ত পরিবহণ ব্যয়, বীমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিক খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; কিন্তু রাশিয়ার দামে কেবল রপ্তানিকারক দেশের বন্দর পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে।
 

বাস্তব হিসেবে, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গম ২৩২ ডলার, অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার। এছাড়া মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গম উত্তম—রাশিয়ার গমে যেখানে গড়ে ১১% প্রোটিন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫%।
 

মন্ত্রণালয়ের দাবি, উচ্চ মান, পুষ্টিগুণ ও পরিবহণ ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম কিছুটা বেশি হওয়া যুক্তিসঙ্গত এবং এটি আন্তর্জাতিক বাজারমান অনুযায়ী নির্ধারিত। তারা আরও জানায়, “গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে।”

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]