দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ও প্রশান্ত মহাসাগরে একের পর এক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) পরিচালিত হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যায়—একটি নৌকা মুহূর্তেই বিস্ফোরিত হয়ে আগুনে পুড়ে যায় ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা।
এটি চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত দশম সামরিক অভিযান। যদিও বেশিরভাগ হামলাই দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় সাগরে হয়েছে, ২১ ও ২২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরেও অভিযান চালায়।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এসব অভিযান মাদকবাহী নৌকা ধ্বংসের অংশ হিসেবে “অ্যান্টি-নার্কোটিক অপারেশন” নামের এক বিশেষ মিশনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সদস্যরাই এই হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের ২৫ জন সদস্য ১০ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ করেন, প্রশাসন কোনো প্রমাণ ছাড়াই একাধিক নৌকায় হামলা চালিয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও মন্তব্য করেন, এসব হামলার আগে কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়া জরুরি ছিল।
অন্যদিকে, ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আমার আইনি ক্ষমতার মধ্যেই এসব হামলার নির্দেশ দিয়েছি।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, “যদি মাদকবাহী নৌকা ধ্বংস দেখতে না চান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানো বন্ধ করুন।”
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত এসব অভিযানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযান শুধু মাদকবিরোধী নয়, বরং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর সামরিক চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।