মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক চাপের প্রভাবে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছে চীন ও ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুটি ক্রেতা হিসেবে এই দেশগুলো মস্কোর জ্বালানি রপ্তানির প্রধান ভরসা ছিল।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর তদারকি এবং তৃতীয় পক্ষের ওপর সম্ভাব্য ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর আশঙ্কায় বেইজিং ও নয়াদিল্লি তাদের তেল ক্রয় পরিমাণে উল্লেখযোগ্য কাটছাঁট শুরু করেছে। এর ফলে রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি থেকে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ ব্যয়ের মধ্যে মস্কোর অর্থনীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি করছে।
জ্বালানি বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা কৌশলের কার্যকারিতা প্রমাণ করছে। তারা বলছেন, সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করেও ওয়াশিংটন বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলে বাস্তব প্রভাব ফেলছে—যা ভবিষ্যতে রাশিয়ার তেল বাজারে অবস্থান আরও দুর্বল করতে পারে।