জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগে যেখানে প্রার্থীদের ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হতো, এখন থেকে অংশ নিতে লাগবে ৫০ হাজার। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে শপথপত্রের (affidavit) মাধ্যমে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে তাদের আয় ও সম্পত্তির সম্পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে, যা অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য—নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
নতুন সংশোধনীতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী জোট থাকলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO) সংশোধনের খসড়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তিন বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দায়িত্বে অংশ নিতে পারবেন, এবং এর জন্য আলাদা কোনো নির্দেশনার প্রয়োজন হবে না।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, সংশোধিত খসড়ায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) ব্যবহার সম্পর্কিত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছে, যারা বর্তমানে আইনি মামলায় পলাতক—তারা কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
নির্বাচনী আইন সংশোধনের এই প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছতা ও প্রার্থীদের আর্থিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।