তাজরীন থেকে বেইলি রোড—এক দশকেও অগ্নিকাণ্ড মামলার নিষ্পত্তি হয়নি

আপলোড সময় : ২১-১০-২০২৫ ০৯:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২১-১০-২০২৫ ০৯:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

তাজরীন ফ্যাশন থেকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ—এক দশকেরও বেশি সময় পার হলেও বড় অগ্নিকাণ্ডগুলোর কোনো মামলাই এখনো আদালতে নিষ্পত্তি হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মতে, বিগত সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব ও সাক্ষীদের ভয়ভীতির কারণে বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায়ীদের বিচারের আওতায় না আনার কারণেই দেশে অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিবারই তদন্ত কমিটি ও আর্থিক সহায়তার ঘোষণা আসে, কিন্তু আদালতের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে—চলমান এসব মামলার কোনোটি চূড়ান্ত রায়ে পৌঁছায়নি। ২০১২ সালের আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় মালিকসহ ১৩ জনের বিচার শুরু হলেও তা আটকে আছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে। ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের মামলাগুলোও এখনো বিচারাধীন। ২০২১ সালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা রাসায়নিক গুদাম ও মগবাজারের ‘রাখি নীড়’ বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেফতার হয়নি কেউ। ২০২৪ সালের বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ আগুনের মামলার তদন্তও সম্পন্ন হয়নি এখনো।

চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের মামলার বাদী আসিফ আহমেদ জানান, এত বছরেও কোনো রায় হয়নি, আসামিরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে, যা ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তাহীনতা বাড়াচ্ছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমন ফারুক ফারুকী বলেন, “অনেক মামলায় আগের সরকারের সহযোগীরা জড়িত থাকায় সাক্ষীরা ভয় পাচ্ছেন। তবে আদালতে সাক্ষীদের হাজির করে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।”

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “দায়িত্বে অবহেলা ও নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের দায়ে যারা জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় না আনার কারণেই দুর্ঘটনা বাড়ছে। অনিয়ম, রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতির কারণে প্রকৃত বিচার হচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, চলমান অগ্নিকাণ্ডে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো সরকারের দায়িত্ব।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]