
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বলে বলেছেন, দনবাসসহ রাশিয়ার দখল-প্রায় অঞ্চলে বর্তমানে যে ফ্রন্টলাইন রয়েছে, সেটাকেই মেনে নিয়ে চুক্তি করা উচিত — এতে দুই পক্ষের কিছুটা এলাকা প্রতিষ্ঠিত থাকবে। ওই বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে কিয়েভ প্রতিনিধি হতাশ হয়েছেন, এবং বৈঠকের বিবরণ প্রথমে পলিটিকো ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
বৈঠকের ফলাফল নিয়ে কিয়েভ দলে তিক্ততা দেখা দিয়েছে; তারা আশা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুর্দশাগ্রস্ত ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করে সামরিক সক্ষমতা বাড়াবেন। ট্রাম্প বৈঠকে বলেন, “আমরা মনে করি, এখনকার ফ্রন্টলাইনেই থেমে যাওয়া উচিত — তুমি এটা নাও, আমরা ওটা নিই, এর বাইরে গেলে আলোচনা কঠিন হবে।” পরে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, “এখন তো এটা ভাগ হয়ে গেছে, আমার মনে হয় প্রায় ৭৮ শতাংশ জায়গা ইতোমধ্যে রাশিয়া দখল করেছে; তাই এখন যেমন আছে, তেমনই রেখে দেওয়াই ভালো — পরে আলোচনা হবে।”
কিয়েভ দফায়ানুসারে তারা বৈঠকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রস্তাবও পেয়েছিল, কিন্তু Tomahawk ক্ষেপণাস্ত্র না পাওয়ায় বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদল হতাশা প্রকাশ করে। ট্রাম্পের ওই ভূমিকা ও বক্তব্য কিয়েভের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রত্যাশার সঙ্গে সংঘাতে দেখা দেয়—বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ঊর্ধ্বগতির যুদ্ধকে ঘিরে কূটনৈতিক আলোচনা ও মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা প্রায়শই আলাদা হয়ে আসে; এ প্রেক্ষাপটে কোনো চূড়ান্ত সমাধানযোগ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠার আগে ফ্রন্টলাইন ও কাহিনীভিত্তিক প্রচ্ছন্ন বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। এই বৈঠকের বিবরণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো ও রয়টার্স প্রকাশ করেছে — কিয়েভের দফতর ও ওয়াশিংটন উভয় স্থানে সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে।
রাজনৈতিক প্রভাব ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দ্রুতই দেখা দিতে পারে: ইউক্রেনের পক্ষ থেকে টেকনিক্যাল ও সামরিক সহায়তার প্রত্যাশা বাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ঘরের রাজনীতি—ও বিদেশনীতি—এ বিষয়ে সমালোচনামূলক প্রশ্ন উঠতে পারে; একই সঙ্গে, মস্কো এ ধরনের ভিত্তি-ভিত্তিক অবস্থানকে কৌশলগত পজিশন হিসেবে পুরস্কৃত বলে দাবি করতে পারে।
সূত্র: পলিটিকো, রয়টার্স (প্রতিবেদনসমূহের একত্রিত সারমর্ম)