
ইসলামী ব্যাংকিং খাতের তারল্য (লিকুইডিটি) সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে দুটি নতুন আর্থিক উপকরণ— ইসলামি মুদ্রা বাজার এবং মূলধন বাজার। এই উপকরণ চালু হলে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো একে অপরের কাছ থেকে সুদবিহীন ভিত্তিতে সহজেই ধার নিতে পারবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ইসলামি ব্যাংকিংবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচলিত কল মানি মার্কেট বা সুদভিত্তিক ব্যাংকিং থেকে ধার নেওয়া ইসলামী ব্যাংকের জন্য শরিয়াহসম্মত নয়। ফলে তারল্য সংকট দেখা দিলেও তারা প্রচলিত পথে সমাধান খুঁজে পায় না। এই প্রেক্ষাপটেই নতুন দুটি বাজার চালুর উদ্যোগ।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে ইসলামি পুঁজিবাজার, তাকাফুল (ইসলামী বিমা) ও ক্ষুদ্রঋণ খাত সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ২৪ শতাংশের বেশি এবং বিনিয়োগের ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে ইসলামী ব্যাংকগুলোর অধীনে। তবে চাহিদার তুলনায় ইসলামী ব্যাংকের গ্রামীণ শাখার সংখ্যা এখনও কম। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চাহিদা শহরের তুলনায় অনেক বেশি।
প্রতিবেদন আরও বলছে, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে কৃষি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, মহিলা উদ্যোক্তা সহায়তা এবং সরকারি প্রকল্পে অর্থায়নে আরও সক্রিয় হতে হবে। এছাড়া সুকুক বন্ড চালুর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ হয়েছে, তা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যেই ব্যবহার হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এসব উদ্যোগ ইসলামি আর্থিক খাতকে আরও স্থিতিশীল, সম্প্রসারিত ও জনমুখী করে তুলবে।