
মা ইলিশের প্রজনন সুরক্ষার জন্য সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ১৮০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৩০ লাখ মিটার জাল ও দেড় মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এই তথ্য শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ সরবরাহ করেছেন।
চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমে জেলা প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছয়টি দল দিনরাত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা কার্যক্রমে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ মৎস্য বিভাগকে সহযোগিতা করছে। এছাড়া নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব Md. Shamsuzzaman আলাদাভাবে অভিযানে অংশ নিয়েছেন।
নৌপুলিশ স্পিডবোট নিয়ে চাঁদপুর ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার পদ্মা নদী পরিদর্শন করে এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে জেলেদের সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য সতর্ক করে। নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন জানান, অভয়াশ্রম এলাকায় টহল দেখে অনেক জেলে জাল ও নৌকা ফেলে দ্রুত গা ঢাকা দেয়, পরে প্রচুর পরিমাণে জাল এবং কিছু নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
সরকার গত ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীসহ দেশের সব অভয়াশ্রমে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে। এই সময়ের মধ্যে ইলিশসহ সকল মাছ ধরাসহ ইলিশ মাছের ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনও নিষিদ্ধ থাকবে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাতে জেলেরা অভয়াশ্রমে ইলিশ নিধন করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, চাঁদপুরে সরকারের পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত অর্ধলক্ষ জেলেকে খাদ্য সহায়তা হিসাবে ২৫ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।