
সোমবার মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে গাজার জন্য একটি নতুন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সহ বিশ্ব নেতারা এ চুক্তিতে অংশ নিয়ে ঘোষণা করেন, গাজায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হবে সমতা, সহনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই অঞ্চল সকলকে বর্ণ, ধর্ম বা জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করবে।
চুক্তিতে বিশ্ব নেতারা সম্পর্কে বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তার পাশাপাশি অঞ্চলের সম্প্রীতি এবং সম্মিলিত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ঐক্যমত গড়া হয়েছে, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে নির্মিত। তারা গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি স্বাগত জানিয়ে, ইসরাইল ও তার পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার আশা পোষণ করেন।
সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান, মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা অংশ নেন এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তি গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এই শান্তিচুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দুই বছরের দীর্ঘ ইসরাইল-হামাস সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রক্রিয়ার অংশ, যা গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী গাজায় আটকের মধ্যে থাকা ২০ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দী মুক্তি পায়, আর এর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
যদিও যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক: ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজার ৬৭,৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি জীবন হারিয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু, ফলে এলাকার জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। এই চুক্তি ওই মানবিক সংকট মোকাবেলায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সম্ভাবনার পথ দেখাচ্ছে।