
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানির সম্পৃক্ততা এবং রাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডরের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। শনিবার (২৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে রোড মার্চটি চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পরে নগরীর বারেক বিল্ডিং মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের কৌশলগত সম্পদ চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে, যা জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
বক্তারা দাবি করেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও নিউমুরিং টার্মিনাল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাতেই পরিচালিত হওয়া উচিত। বিদেশি কোম্পানির ইজারা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং এটি অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক থেকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
রাখাইনে মানবিক করিডর স্থাপনের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশের জড়িত হওয়ার শামিল, যা দেশের পররাষ্ট্রনীতির বিপরীত।
এছাড়া সমাবেশ থেকে স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে করা সব অসম চুক্তি প্রকাশ ও বাতিলের দাবিও জানানো হয়।
রোড মার্চ ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ প্রায় অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের এক হাজারের বেশি নেতাকর্মী।