
গাজার যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষিতে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ (হুথি) আন্দোলন ঘোষণা করেছে, তারা লোহিত সাগর ও ওমান উপসাগরে ইসরায়েল ও ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজের ওপর পরিচালিত সমস্ত আক্রমণ আপাতত স্থগিত রাখবে; সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই বিধান যতক্ষণ গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে ততক্ষণ কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরে ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরে হুথিদের বিশাল সমাবেশে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয় এবং আন্দোলনের নেতা আবদুল মালিক আল‑হুথি জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন গাজার প্রতিরোধে “অসাধারণ দৃঢ়তা” দেখা গেছে। তিনি দেশে বাহিনীকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা গাজার যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন মনিটর করবে এবং ইসরায়েল কোনো নতুন আগ্রাসন করলে পুনরায় সামরিক সহায়তায় নামার প্রস্তুতি রাখছে।
আল‑হুথি দাবি করেছেন, সংঘাত চলার সময় তারা লোহিত সাগর ও ওমান উপসাগরে মোট উদ্দিষ্টভাবে প্রায় ১,৮০০ টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে — এটি তাদের সামরিক কার্যক্রমের পরিধি ও তীব্রতার নির্দেশ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হুথিদের এই স্থগিতাদেশ সাময়িকভাবে নৌপরিবহনে শিথিলতা আনতে পারে এবং গাজার তাত্ক্ষণিক মানবিক তাড়াহুড়োতে সহায়ক হলেও, এটি একপার্শ্বীয় ও শর্তসাপেক্ষ এক সিদ্ধান্ত; যদি যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায় বা নতুন আকস্মিক ঘটনা ঘটে, তাহলে হুথিরা দ্রুত বাস্তবে ফিরতে পারে বলেই হুঁশিয়ারি রাখছে।
আঞ্চলিক পর্যবেক্ষণে এই সিদ্ধান্তের দুইটি লক্ষণীয় দিক আছে — একদিকে এটি সাময়িক অবসান এনে রুটগুলোতে বাণিজ্য ও ত্রাণপথের পুনরায় খোলার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে; অন্যদিকে, হুথিদের আঘাতক্ষমতার দাবি ও তাদের পুনর্গঠন‑সক্ষমতা যখনই সক্রিয় হবে, তখন লোহিত সাগর ও সুয়েজ রুটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন ও মানবিক সংস্থাগুলো এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও, তারা বলছে মনিটরিং ও স্বচ্ছতা জরুরি যাতে সত্যিকার অর্থেই নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।