
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আঙ্কারায় বলেছেন, গাজায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে যে সমঝোতা হয়েছে তা বজায় রেখে উসকানি ও বাধা-অবরোধ এড়িয়ে চলাই এখন সবচেয়ে জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বন্দী বিনিময় ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে এবং এই প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে বৈশ্বিক পক্ষগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
হাকান ফিদান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের সময় যে বিশৃঙ্খলা বা রাজনৈতিক উসকানি দেখা দিচ্ছে তা ফের উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তুরস্কের ভূমিকা মধ্যস্থতা ও মানবিক সহায়তা মসৃণভাবে পৌঁছে দেওয়ায় সহায়ক হওয়া—এমনটাই তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ইতিবাচক গতিকে রক্ষার জন্য সমস্ত পক্ষকে সর্তক ও দায়িত্বশীল আচরণ চাই।”
গাজায় স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বন্দী বিনিময় ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—কিন্তু দ্রুত পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও কূটনৈতিক চাপ প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। তুরস্কের আহ্বানকে বিশ্লেষকরা মধ্যস্থতাকারীদেশ হিসেবে আঙ্কারার স্থিতিশীলতার ভূমিকা জোরদারের সংকেত হিসেবে দেখছেন; একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে প্রক্রিয়াটিকে বিরাম না দেওয়ার জন্য অনুরোধ।
হাকান ফিদানের বার্তা প্রধানত তিনটি বিষয়কে তুলে ধরে — (১) যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে সকল পক্ষের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ, (২) মানবিক সহায়তা ও বন্দী বিনিময় দ্রুত শুরু করা, এবং (৩) কোনরকম উসকানি বা কূটনৈতিক প্ররোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থাকে ব্যাহত না করা।