পারমাণবিক স্থাপনায় আন্তর্জাতিক সংস্থার নজরদারি বন্ধ করছে ইরান

আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০১:২৫:০২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০১:২৫:২৯ পূর্বাহ্ন
ইরান আর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে প্রবেশাধিকার দেবে না। সেইসাথে আইএইএকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নজরদারি ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন একজন শীর্ষ ইরানি আইনপ্রণেতা।

ইরানি সংসদের ভাইস স্পিকার হামিদ রেজা হাজি বাবাই শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি সরকার থেকে প্রাপ্ত নথিতে সংবেদনশীল স্থাপনার তথ্য আবিষ্কারের ফলে ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি এবং বিচার বিভাগের শহীদ কর্মকর্তাদের সম্মানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, æসাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ ইরানি জাতির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৪৭ বছরের পুরনো শত্রুতার ধারাবাহিকতা। এই শত্রুতার মূল কারণ ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক কর্মসূচি নয়, এটি ইরানের জনগণের সাথে শত্রুতা।”

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৯ কোটি জনসংখ্যার একটি শক্তিশালী জাতিকে ভয় পায়, যাদের ৭ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা এই অঞ্চলে আমেরিকান আধিপত্যকে অনুমোদন করবে না।”

হাজী বাবাই ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতার কৌশলগত নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, æশেষ পর্যন্ত, (ইরানের) জনগণই চূড়ান্ত অবস্থান নিয়েছিল। শত্রু যত বেশি তীব্র হবে, জনগণ তত বেশি শক্তিশালীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।”

যুদ্ধের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শত্রুরা ইরানের ব্যবস্থাপনাকে অস্থিতিশীল করতে কমান্ডারদের হত্যা করার চেষ্টা করেছে- ঠিক যেমনটি তারা ১৯৮১ সালের ২৮ জুন করেছিল। তারা আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে এবং পরে প্রেসিডেন্ট রাপ্রেসিডেন্ট করে।

æশত্রুরা বিশ্বাস করে, ইরানকে শাসন করা যাবে না এবং খণ্ডিত করা উচিত। তারা জাতিগত উত্তেজনা বাড়ানোর লক্ষ্য রাখে এবং মিথ্যাভাবে ধরে নেয় যে, ইরানের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা তাদের পক্ষে থাকবে,” সবশেষে বলেন তিনি। 

সূত্র: মেহর নিউজ

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]