
চীনের নতুন রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতি কার্যকর হওয়ার পর আবারও উত্তেজনা বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের এই পদক্ষেপ শত্রুতামূলক এবং এটি বৈশ্বিক বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
চীনের ঘোষিত পরিকল্পনায় সামরিক ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে ব্যবহৃত বিরল খনিজ রফতানি এবং উৎপাদন প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পরপরই শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “চীন বিশ্ববাজারকে স্থবির করার পথে এগোচ্ছে, এর প্রভাব পড়বে সবার ওপর।”
তিনি ঘোষণা দেন, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। পাশাপাশি ১ নভেম্বরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার ও প্রযুক্তিপণ্যের ওপর নতুন রফতানি নিয়ন্ত্রণ জারি করা হবে, যা বিদ্যমান শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কার্যকর হবে।
এ ছাড়া, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিলেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “চীন এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, এখন তাদের সঙ্গে দেখা করার কোনো প্রয়োজন দেখি না।”
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে তা যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে।