
ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখার অংশ হিসেবে ভারতের আট নাগরিক ও নয়টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—ইরানি তেল, পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যে জড়িত থাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ভারতের এই নাগরিক ও কোম্পানিসহ প্রায় ৪০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ‘অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল’ (ওএফএসি) ইরানের তেল ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) পরিবহনে সহায়তার অভিযোগে আরও ৬০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এতে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মুম্বাইভিত্তিক সিজে শাহ অ্যান্ড কোং, কেমোভিক, মোডি কেম, পারিচেম রিসোর্সেস, ইন্ডিসল মার্কেটিং, হরেশ পেট্রোকেম, শিব টেক্সচেম এবং দিল্লিভিত্তিক বিকে সেলস কর্পোরেশন।
এ ছাড়া পাঁচ ভারতীয় নাগরিক—পীযূষ মাগনলাল জাভিয়া (কেমোভিক), নীতি উন্মেশ ভট্ট (ইন্ডিসল মার্কেটিং), কমলা কাসাত, কুণাল কাসাত ও পুনম কাসাত (হরেশ পেট্রোকেম)—এর নামও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।
ওএফএসি আরও জানায়, বরুণ পুলা, আয়াপ্পান রাজা ও সোনিয়া শ্রেষ্ঠা নামের তিন ভারতীয় ইরানি এলপিজি পরিবহনকারী জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, “নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব সম্পদ জব্দ করা হবে।”