খামেনিই দিয়েছেন নির্দেশ: ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লায় আর কোনো সীমা নেই

আপলোড সময় : ০৯-১০-২০২৫ ০৮:২৫:২৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-১০-২০২৫ ০৮:৩৬:১৯ অপরাহ্ন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উপর আর কোনো দূরপাল্লার সীমা থাকবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন; এতে তেহরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং অঞ্চলে নিরাপত্তা অচিন্ত্য বৃদ্ধি পেতে পারে। 
 
ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্য বাখশায়েশ আরদেসতানি জানান, আগে খামেনেইর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ২,০০০–২,২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন সেই সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। এতে ইরান চাইলে আগের চেয়ে দীর্ঘ-পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষা করতে পারবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 
 
এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রোগ্রামকে ঘনভাবে নজর করে এসেছে—বিশেষ করে পারমাণবিক সক্ষমতার সন্দেহের প্রেক্ষিতে—এবং স্ব-নির্ধারিত পাল্লা সীমা ক্ষেপণাস্ত্র নীতির একটি কাঠামো হিসেবে দেখানো হতো। খামেনেইর এই নির্দেশ হলে তেহরানের আঞ্চলিক ব্যালান্স ও বিশেষত ইসরাইল ও মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন। 
 
ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষা ও আত্মরক্ষার অধীনে নেয়া হয়েছে এবং দেশের সার্বভৌম অধিকার রক্ষার জন্য বৈধ। তবে পশ্চিমা মিডিয়া ও কূটনীতিক মহলে এর তাত্ক্ষণিক প্রভাব—যেমন প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাব্য কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ বা নতুন নিষেধাজ্ঞা—কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। রেওয়ায়েতভিত্তিকভাবে তেহরান আগেই জানিয়েছে যে ইতিমধ্যে তাদের বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অঞ্চলের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার যোগ্যতা রাখে; এবার সীমা প্রত্যাহারের ঘোষণায় এটি আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে। 

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]