
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গঠিত দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছে। মামলাগুলো আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিনের শাসনামলে বিরোধী দল ও মতের ব্যক্তিদের গুম এবং নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। উভয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন বর্তমান ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং বাকি ৫ জন বেসামরিক নাগরিক।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল বুধবার অভিযোগ গ্রহণের পাশাপাশি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বেসামরিক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ। সামরিক আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, সংশোধিত আইন অনুযায়ী কোনো আসামি অভিযোগ চলাকালে সরকারি বা সামরিক পদে থাকার সুযোগ পাবেন না। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শাসনামলে বহু মানুষ গুম হন, যাদের মধ্যে অনেকেরই কোনো খোঁজ মেলেনি। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর গোপন বন্দিশালা থেকে মুক্তি পান বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী, যাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম ও আবদুল্লাহিল আমান আযমী অন্যতম। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলাগুলো দায়ের হয় এবং আজ সকালে প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জমা দেয়।