
গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক করা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৭১ জন মানবাধিকার ও শান্তিকর্মীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় পাঠানো হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, সার্বিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন।
এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিশরে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে হামাসের প্রতিনিধি দল মিশরে পৌঁছেছে, আর ইসরাইলি প্রতিনিধিদের পৌঁছানোর কথা রয়েছে সোমবার। দুই পক্ষের এই আলোচনার মাধ্যমে প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা সংঘাতের অবসান ঘটবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছে আলোচনার প্রথম ধাপ এই সপ্তাহেই শেষ হতে পারে। তিনি সব পক্ষকে আরও দ্রুত আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খলিল আল-হায়া, যিনি গত মাসে দোহায় ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন এবং সম্প্রতি মিশর পৌঁছেছেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস জানিয়েছে, তারা হামাসের কাছে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং গাজায় ত্রাণ পাঠানোর সমন্বয় করতে প্রস্তুত আছে। পরিস্থিতি পরিবর্তনের এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে গাজা উপত্যকার ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।