
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার গভীর অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী উপস্থিতির সময়েই সকল জিম্মি — জীবিত বা মৃত — ফিরিয়ে আনা হবে এবং বিষয়টি নিয়ে অতিমাত্রায় আলোচনা চালিয়ে সময় নষ্ট করা হবে না। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলা আলোচনা কয়েক দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে; এরপর হামাসকে হয় সামরিকভাবে নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে, নাহলে রাজনৈতিকভাবে বিলোপ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংবাদদাতা ও কূটনীতিকদের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, নেতানিয়াহুর ঘোষণাটা ইসরায়েলি সরকার ও মিত্রদের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংকেত হিসেবে দেখাও যেতে পারে। জিম্মিদের মুক্তি ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু; আগের বিনিময়-চুক্তি ও অপারেশনগুলোর প্রেক্ষিতে বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা জটিলতা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
এদিকে, গাজায় সামরিক অপারেশনের সময় মানবিক ঝুঁকি, বর্হিগণ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক আইন সংক্রান্ত প্রশ্নও তীব্র হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সমন্বয় কতটা ফলপ্রসূ হবে এবং তা কি জিম্মিদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবে, তা মাপকাঠি হিসেবে থাকবে। ভবিষ্যতে হামাসকে “সামরিক” না “রাজনৈতিক”ভাবে দুর্বল করা—দুটি বিভিন্ন কৌশল এবং প্রত্যেকেরই দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রভাব রয়েছে; বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কূটনীতি, মানৱিক বিবেচনা ও বাস্তব সামরিক বাস্তবায়ন একসঙ্গে কাজ করবে।