গ্রীনল্যান্ডের ট্যানব্রিজে বিরল খনিজে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ

আপলোড সময় : ০৫-১০-২০২৫ ০৪:৫৫:২২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-১০-২০২৫ ০৪:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন
গ্রীনল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত “ট্যানব্রিজ” (Tanbreez) খনিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। রয়টার্সের তথ্যমতে, ওয়াশিংটন শিগগিরই মার্কিন কোম্পানি Critical Metals Corp–এর মালিকানাধীন এ বিরল খনিজ প্রকল্পে অংশীদার হতে যাচ্ছে।
 
বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল। সরাসরি ভূরাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে দেশটি গ্রীনল্যান্ডের বিপুল খনিজ সম্পদে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
 
বিরল খনিজ বা Rare Earths উচ্চচৌম্বক বৈশিষ্ট্যের কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ি, ক্ষেপণাস্ত্র এবং আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পে অপরিহার্য। বর্তমানে এই উপাদানে চীনের প্রভাব প্রায় একচেটিয়া। তাই বিকল্প উৎস খুঁজে বের করাই পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
 
গ্রীনল্যান্ডের বরফাবৃত ভূখণ্ডে শুধু Rare Earths নয়, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও ইউরেনিয়ামসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত তিনটি প্রকল্প হলো—
১. ট্যানব্রিজ প্রকল্প: প্রায় ৪৫ মিলিয়ন টন Rare Earth Oxide মজুত। ২০২৮ সালে কাজ শুরু হওয়ার পরিকল্পনা।
২. কভানেফজেল্ড প্রকল্প: প্রায় ১ বিলিয়ন টনের বেশি আকরিক মজুত। তবে ইউরেনিয়াম খনন নিষিদ্ধ থাকায় উন্নয়ন স্থবির।
৩. সারফারটক প্রকল্প: প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার টন Rare Earth Oxide মজুত। অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনো চলছে।
 
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রহ শুধু অর্থনৈতিক নয়; বরং চীনের খনিজ আধিপত্য ভাঙতে গ্রীনল্যান্ডে প্রভাব বাড়ানোর কৌশলেরই অংশ।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]