
দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গাজামুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে অংশগ্রহণকারী বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের পাশে অন্তর্বর্তী সরকার সবসময় দাঁড়িয়ে আছে। তিনি শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান এবং নৌবহরে অংশগ্রহণকারীদের অবস্থান ও নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা জানান, বিশেষ করে শহিদুল আলমের।
শহিদুল আলম এই অভিযানে সেইই সাহস ও দৃঢ়তাই বহন করছেন, যা তিনি ২০১৮ সালে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১০৭ দিন কারাগারে বন্দি থাকাকালীনও দেখিয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের অদম্য চেতনার জীবন্ত প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তিনি গাজার মানবিক সংকট তুলে ধরেছিলেন, যেখানে শিশুরা ক্ষুধায় আক্রান্ত, বেসামরিক প্রাণহানি ঘটছে এবং হাসপাতালে ও বিদ্যালয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে মানবিক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছে এবং অবরোধের মধ্যে থাকা এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দিতে ৪৫টিরও বেশি দেশের নৌযান মার্চ শুরুর দিকে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়। শহিদুল আলম ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালিতে পৌঁছে সেখানে থেকে গাজার ফ্লোটিলায় অংশ নেন।
এই তথ্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, মানবাধিকার রক্ষায় এবং গাজার সংকট মোকাবেলায় দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সমর্থন ও পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে, যেখানে শহিদুল আলমের ভুমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।