
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তিউনিসিয়ায় অবস্থানরত মানবিক ত্রাণবাহী দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ তথ্য তারা পেয়েছে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
গোয়েন্দা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী সাবমেরিন থেকে চালানো ড্রোনের মাধ্যমে নৌযান দুটির ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় জাহাজ দুটি তিউনিসিয়ার সিদি বউ সাঈদ উপকূলে নোঙর করা ছিল। হামলাগুলো গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে সংঘটিত হয়। যদিও এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি পর্তুগিজ ও একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেসামরিক স্থাপনা বা নাগরিক সম্পদের ওপর দাহ্য অস্ত্রের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী বা নেতানিয়াহু এ ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
সম্প্রতি ইসরাইলি সেনারা “গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা”র অন্তর্ভুক্ত ৪০টিরও বেশি নৌযান আটক করেছে। এসব জাহাজে থাকা শত শত মানবাধিকার কর্মীর মধ্যে সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। ইসরাইলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে, অনেক দেশ একে “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এতে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশের অধিকারকর্মী, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৫০০ ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরুর পর ধীরে ধীরে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকে আরও জাহাজ এই বহরে যোগ দেয়।
ইসরাইল বরাবরই দাবি করে আসছে যে ফ্লোটিলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের যোগাযোগ রয়েছে, যদিও এই অভিযোগের পক্ষে এখনো কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তারা।
তথ্যসূত্র: সিবিএস নিউজ, আল-জাজিরা