
ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করলে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও তাঁর দলের সঙ্গে সমন্বয় করে যুদ্ধ শেষ করা ও তাদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ইসরায়েল “পূর্ণ সহযোগিতায়” কাজ করবে। তবে বিবৃতিতে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী গাজার ওপর বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধের প্রতি কোনো আলাদা উল্লেখ ছিল না।
পটভূমি হিসেবে জানা যায়, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসকে একটি শান্তিচুক্তির প্রস্তাব দেন এবং রোববারের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর আলটিমেটাম দেন—অন্যথায় গাজায় দমন অভিযান বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দেন। সেই প্রস্তাবে হামাস আংশিক সম্মতি জানিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতি হলে তারা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির প্রস্তুতি নেবে এবং ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। হামাসের এই প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, হামাস স্থায়ী শান্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং ইসরায়েলকে জিম্মিদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামিরকে প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন; সামরিকসূত্র বলেছে, জামির শীর্ষ জেনারেলদের সঙ্গে বিশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন বৈঠক করেছেন এবং আইডিএফকে জিম্মিদের মুক্তি কার্যকর করার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। কূটনৈতিকভাবে, মার্কিন উদ্যোগ ও এ সংক্রান্ত মেসেজ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সংস্থার নজরে এসেছে, তবে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কেটে ওঠার পথ নানাবিধ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা শর্তে আবদ্ধ রয়েছে।