গাজার পথে এখনো এগোচ্ছে একমাত্র জাহাজ ‘ম্যারিনেট’

আপলোড সময় : ০৩-১০-২০২৫ ১০:১২:৪১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-১০-২০২৫ ১০:১২:৪১ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলের অভিযানে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র অধিকাংশ ত্রাণবাহী নৌযান আটক হলেও এখনো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে একটি মাত্র জাহাজ— ‘ম্যারিনেট’। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই ছোট্ট নৌযানটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে এবং গাজার অবরোধ ভাঙার শান্তিপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠেছে।
 

জাহাজটিতে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ম্যারিনেট গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এবং ইসরায়েলি নৌবাহিনীর আটকানো এলাকার মাত্র ১০ নটিক্যাল মাইল আগে অবস্থান করছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট বা ৪ কিলোমিটার।
 

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় ক্যাপ্টেন জানান, কিছু সময়ের জন্য ইঞ্জিনে সমস্যা হয়েছিল, তবে তা মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট সংযোগে সচল রয়েছে এবং লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ সরাসরি তা পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
 

ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বলা হয়, “ম্যারিনেট কেবল একটি জাহাজ নয়; এটি সাহস, প্রতিরোধ এবং আশার প্রতীক। গাজা একা নয়।”
 

গত আগস্টে যাত্রা শুরু করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মানবিক মিশনের অংশ হিসেবে গাজায় সরাসরি খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়। এতে ৪০টিরও বেশি জাহাজ যুক্ত ছিল। আইনজীবী, চিকিৎসক, সংসদ সদস্য এবং মানবাধিকারকর্মীদের পাশাপাশি সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও এতে অংশ নেন। তবে ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যে অধিকাংশ জাহাজ আটক করে প্রায় ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের আগে রেকর্ড করা বার্তায় থুনবার্গ বলেন, “যদি এই ভিডিও কেউ দেখে, বুঝবেন আমি ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে জোরপূর্বক আটক হয়েছি।”
 

এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইতালিসহ বহু দেশ নিন্দা জানিয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়, ইতালিতে ডাকা হয় সাধারণ ধর্মঘট। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের বিরুদ্ধে নির্মমতা।”
 

অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করছে— তারা বৈধ অবরোধ রক্ষা করছে এবং ফ্লোটিলার এই মিশন ছিল ‘উসকানিমূলক’। তাদের মতে, সহায়তা গাজার জন্য কেবল নির্ধারিত নিরাপদ রুটেই পাঠানো সম্ভব।
 

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গাজা অবরোধ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং জাতিসংঘ ঘোষিত ‘জেনোসাইড কনভেনশন’-এর সরাসরি লঙ্ঘন।
 

সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]