
আন্তর্জাতিক পানিসীমায় নজিরবিহীনভাবে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রায় ৫০০ যাত্রীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অর্ধশতাধিক দেশের নাগরিক এই বহরে অংশ নিয়েছিলেন, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল গাজার শিশু ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য দুধ, খাদ্য ও জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু ইসরায়েলের কাছে তারা এখন “অপরাধী” হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
মানবিক সহায়তার এই বহরকে আটক করার ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা উঠেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইতিহাসে কখনো একসাথে এত সংখ্যক মানুষকে আন্তর্জাতিক সমুদ্রে “অপরাধী” ঘোষণা করা হয়নি। আটক যাত্রীদের আগামীকাল ইসরায়েলের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে, যদিও এটি আন্তর্জাতিক আইন ও সমুদ্র আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আন্তর্জাতিক পানিসীমায় কোনো রাষ্ট্রের বহরে হস্তক্ষেপ করা আইনত বৈধ নয়—এটাই বৈশ্বিক নৌ-আইনের মূল নীতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ মুক্ত বাজারভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং মানবিক উদ্যোগ দমনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।