
প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ার ফজিলত:
রাসূল ﷺ বলেন—
“যে ব্যক্তি সকালবেলা আয়াতুল কুরসি পড়বে, সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না। আর যে সন্ধ্যায় পড়বে, সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না।”
(হাকিম, মুস্তাদরাক; সহিহ সনদে বর্ণিত)
ঘুমানোর আগে পড়লে সুরক্ষা:
আবু হুরায়রা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, একবার শয়তান তাঁকে আয়াতুল কুরসি শিখিয়ে দিয়েছিল এবং বলেছিল—
“যখন তুমি ঘুমাতে যাবে তখন এটি পড়ো, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য এক প্রহরী নিয়োজিত থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।”
রাসূল ﷺ এ কথা শুনে বললেন—
“সে যদিও মিথ্যাবাদী, তবুও এবার সত্য বলেছে।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৩১১)
মৃত্যুর সঙ্গে জান্নাতের নিশ্চয়তা:
রাসূল ﷺ বলেন—
“যে ব্যক্তি প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার ও জান্নাতের মাঝে মৃত্যুই একমাত্র অন্তরায়।”
(নাসায়ী, কুবরা; সহিহ সনদে বর্ণিত)
প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করা আমাদেরকে শুধু আধ্যাত্মিকভাবে সুরক্ষিত রাখে না, বরং আল্লাহর কাছে আমাদের বিশ্বাস ও ভক্তি শক্তিশালী করে। ঘুমের সময় এটি পড়লে ফেরেশতারা প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত হয় এবং শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে জান্নাতের পথ আরও সহজ হয়। তাই এই মহিমান্বিত আয়াতটি নিয়মিত পাঠ করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।