চলন্ত যানবাহনে ফরজ নামাজ আদায় সম্ভব? ইসলামি নির্দেশনা জানুন

আপলোড সময় : ২৭-০৯-২০২৫ ১২:০৪:৫৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৭-০৯-২০২৫ ১২:০৫:৪৯ অপরাহ্ন

নামাজ ইসলামের ফরজ বিধান। প্রতিটি জ্ঞানসম্পন্ন ও বালেগ মুসলিমের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। ফরজ নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়া গুরুতর কবিরা গুনাহ, যা তওবা ছাড়া মাফ হয় না এবং মানুষকে জাহান্নামে পৌঁছে দিতে পারে।

যাত্রাপথে চলন্ত লঞ্চ, জাহাজ, ট্রেন বা বিমানে সম্ভব হলে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে রুকু-সিজদাসহ নামাজ আদায় করতে হবে। দাঁড়ানো কষ্টকর হলে বসে রুকু-সিজদা করার অনুমতি রয়েছে। এভাবে আদায় করলে পরবর্তীতে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে না। তবে কেবলামুখী হওয়া বা রুকু-সিজদা করা একেবারেই সম্ভব না হলে, বসে বা ইশারায় নামাজ পড়ে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে সতর্কতার জন্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে ওই নামাজ পুনরায় আদায় করাই উত্তম।


বাসযাত্রার ক্ষেত্রে যেহেতু দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া সাধারণত সম্ভব হয় না, তাই নিকটবর্তী যাত্রায় ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে মনে হলে বাস থেকে নেমে নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে দূরপাল্লার যাত্রায় বা নামাজের সময়ে বাস না থামলে সিটেই যেভাবে সম্ভব বসে বা ইশারায় নামাজ পড়ে নিতে হবে এবং পরে তা কাজা করতে হবে।

দীর্ঘ যাত্রায় বাস চালকদের উচিত নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া এবং বাস মালিকদের এ বিষয়ে ইতিবাচক নির্দেশনা প্রদান করা। একইভাবে মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোকেও যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। আর যাত্রীদের উচিত, বাসে কেউ নামাজ পড়তে চাইলে চালককে বাস থামাতে উৎসাহিত করা।

(সূত্র: ইলাউস সুনান ৭/২১২; মাআরিফুস সুনান ৩/৩৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/১০১)

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]