
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ইসরাইলের কর্মকাণ্ড নিয়ে যারা প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন, তারা গোপনে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাধারণ বিতর্কের চতুর্থ দিনের শুরুতে তিনি পোডিয়ামে দাঁড়ান। কিন্তু তার বক্তব্য শুরু হতেই বহু প্রতিনিধি কক্ষ ত্যাগ করেন এবং জাতিসংঘের সভাকক্ষ প্রায় খালি হয়ে যায়। টাইমস অব ইসরাইলের তথ্যমতে, শুধু আরব ও মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরাই নন, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও ওয়াকআউটে অংশ নেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহু তার ভাষণে প্রথমেই গাজায় আটক ইসরাইলি জিম্মিদের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি দাবি করেন, তাদের মুক্তির জন্য ইসরাইল লড়ছে। তবে সমালোচকদের মতে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে নেতানিয়াহুর অনিচ্ছার কারণেই জিম্মিদের মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। এরপর তিনি একটি মানচিত্র দেখিয়ে ইরানকে ‘সন্ত্রাসের অক্ষশক্তি’ বলে উল্লেখ করেন।
নিজের বক্তব্যে নেতানিয়াহু লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পরিচালিত পেজার বিস্ফোরণ অভিযানের কথা গর্বভরে স্মরণ করেন এবং বলেন, এর মাধ্যমে ইসরাইল বার্তা দিয়েছে। তিনি হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ, হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা, হুতি নেতা ও ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের ইঙ্গিতও দেন।
গাজায় চলমান ইসরাইলি অভিযানের কারণে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু দাবি করেন, যারা প্রকাশ্যে ইসরাইলের সমালোচনা করছেন, তারা গোপনে জানাচ্ছেন কৃতজ্ঞতা, কারণ ইসরাইল নাকি তাদের হয়ে লড়ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি গোয়েন্দা সেবা নানান দেশের রাজধানীতে অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে এবং বহু মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।